শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার

টার্গেট কেন সাংবাদিক মোঃ হেলাল হোসেন কবির

সম্পাদকের ডায়েরি:

-মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ::

সাংবাদিক মোঃ হেলাল হোসেন কবির (৩২)। প্রায় এক যুগ ধরে লালমনিরহাট জেলায় করছেন মফস্বল/ গ্রামীণ সাংবাদিকতা। এ জেলার সমস্যা-সম্ভাবনা ও উন্নয়ন এবং অনিয়ম-দূর্নীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে নানা চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিভিন্ন সময় ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন তিনি।

 

সংবাদ সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে বাড়িতে ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন তিনি। তারা তাঁকে মাটিতে ফেলে গলাকাটার চেষ্টা করে। কৌশলে সে যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান। এবার ১৩বছর পর আবারও চলতি ২০২৫ সালের ৯ আগস্ট বাড়ির গেটে হামলার শিকার হন তিনি।

 

সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও দৈনিক চিত্র পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি এবং প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের সদস্য মোঃ হেলাল হোসেন কবিরকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বেদম পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনি ও তার মা আহত হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকড়া ঢঢ গাছ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

উক্ত হামলার ঘটনায় ১১জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করা হলে রাতেই মোঃ সোহরাব হোসেন (৫০) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার সোহরাব আলী ‌এক‌ই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে। রোববার (১০ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে সোহরাবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পর দিন সোমবার (১১ আগস্ট) সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবিরকে হত্যাচেষ্টার প্রধান আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ আদালত।

 

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে সাধারণ ডায়েরিতে সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হেলাল হোসেন কবির উল্লেখ করেন যে, আমি মোঃ হেলাল হোসেন কবির (৩২), নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকা, পিতা- মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং- মকড়া ঢঢ গাছ, ইউনিয়ন- মহেন্দ্রনগর, থানা ও জেলা লালমনিরহাট। আমি সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছি। এই মর্মে আপনার থানায় অভিযোগ করিতেছি যে, আমার প্রতিবেশি দাদন ব্যবসায়ি ও ৫ আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে রাজনীতির দলের নেতা মোঃ সোহরাব হোসেন (৫০), পিতা- মোঃ মকবুল হোসেন এর বাড়িতে বৈঠক করার পর ১। মোঃ আব্দুল আজিজ ওরফে আব্দুক জুয়ারু (৪০), ২। মোঃ আবুল হোসেন ওরফে বিদেশি (৪৬), উভয়ের পিতা- মোঃ মকবুল হোসেন, ৩। মোছাঃ শিউলি বেগম ওরফে শিশু নির্যাতনকারী (২৮), স্বামী- মোঃ আবুল হোসেন, ৪। মোছাঃ শামসুন্নাহার বেগম (৪২), স্বামী- সোহরাব হোসেন, ৫। মোছাঃ শ্যামোলী বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ তোজাম হোসেন, সর্ব সাং- মকড়া ঢঢ গাছ, থানা ও জেলা লালমনিরহাটগণ দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করিয়া আসিতেছে। ইং ৩০ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার অনুমান দুপুর ১ঘটিকায় আমার বাড়ির গেটের সামনে এসে আমার বোন ও মাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালা গালি করিতে করিতে ১, ২ ও ৩নং আসামিসহ আমার উপর মাইরমূখী আচরণ করে। আসামিরা বলে “তুই সামান্য সাংবাদিক তোর কি করার ক্ষমতা আছে দেখে নিবো, তোকে তো একবার জবাই করতে ধরছে, তখন কিন্তু অল্পের জন্যে বেঁচে গেছিলি এবার তোর পায়ের ব্যাম্টি (রগ) কেটে দেওয়া হবে”। এমন সময় ৪ ও ৫নং আসামি আমার বাড়ির সামনে রাস্তায় অকট্ট ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন সকল আসামিগণ বিভিন্ন মানহানিকর কথা বলে। সেই সাথে বলিতে থাকে আমার পরিবারের লোকজন ও আমাকে ক্ষতি করিবে, মিথ্যা মামলায় ফেলিয়া দিবে এবং জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনা স্থান ত্যাগ করে। স্বাক্ষী- ১। মোঃ ইউনুস আলী (৩৮), পিতা- মৃত্যু বক্তার পাটোয়ারী মন্ডল, ২। মোছাঃ শামসুন্নাহার বেগম (৫৪), পিতা- মৃত্যু নুজামাল ইসলাম ৩। মোছাঃ আছিয়া খাতুন (২২), পিতা- মোঃ আমিনুল ইসলাম, ৪। মোঃ আনারুল ইসলাম বাবু (৩৯), পিতা-মোঃ নূর ইসলাম, সর্ব সাং মকড়া ঢঢ গাছ, খানা ও জেলা লালমনিরহাট এবং আরও বেশ কিছু ব্যক্তিবর্গদের জানাইয়া থানায় অভিযোগ দিতে কিছুটা বিলম্ব হইলো। অতএব, উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে সঠিক ব্যবস্থা নিতে আপনার মর্জি হয়। [লালমনিরহাট সদর থানার জিডি নং ৪৭/২৫, তাং ০১/০৫/২৫।]

 

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে এজাহারে সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হেলাল হোসেন কবির উল্লেখ করেন যে, আমি মোঃ হেলাল হোসেন কবির (৩২), নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকা, পিতা- মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং- মকড়া ঢঢ গাছ, ইউনিয়ন- মহেন্দ্রনগর, থানা ও জেলা-লালমনিরহাট। থানায় এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, প্রতিবেশী আসামী- ১। মোঃ সোহরাব হোসেন (৫০), ২। মোঃ আব্দুল আজিজ ওরফে আব্দুক জুয়ারু (৪০), ৩। মোঃ আবুল হোসেন বিদেশি (৪৬), ৪। মোঃ তোজাম হোসেন (৪৫), সকলের পিতা- মোঃ মকবুল হোসেন, ৫। মোঃ মকবুল হোসেন (৭৫), পিতা- মৃতঃ মফিজ মন্ডল, ৬। মোঃ মফিজুল রহমান পুতুল (৫৪), পিতা- মোঃ বাজির হোসেন, ৭। মোছাঃ সুফিয়া বেগম (৪০), স্বামী- মোঃ মফিজুল রহমান পুতুল, ৮। মোঃ সুমন (১৮), পিতা- মোঃ তোজাম হোসেন, ৯। মোছাঃ শিউলি বেগম (২৮), স্বামী- মোঃ আবুল হোসেন, ১০। মোছাঃ ছামছুন্নাহার বেগম (৪২), স্বামী- মোঃ সোহরাব হোসেন, ১১। মোছাঃ শ্যামলী বেগম, স্বামী- মোঃ তোজাম হোসেন, সর্ব সাং- মকড়া ঢঢ গাছ, ইউনিয়ন- মহেন্দ্রনগর, থানা ও জেলা- লালমনিরহাট গণ একই সংঘবদ্ধ ও অপরাধী ব্যক্তি হইতেছে। উল্লেখিত আসামীগণের মধ্যে আসামী আব্দুল আজিজ ওরফে আব্দুক জুয়ারু কে প্রায় ৫/৬ মাস পূর্বে জুয়ার আসর থেকে থানা পুলিশ ধৃত করিলে আসামী থানায় মুচলেকা দিয়া বাড়ীতে যাইয়া আমাকে মিথ্যা সন্দেহ করেন যে, আমি তাহাকে পুলিশ দিয়া ধরাইয়াছি। অতঃপর সকল আসামীগণ আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকিলে তখন আমি বাদী হইয়া ১ হইতে ৩ ও ৯ হইতে ১১নং আসামীদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি নং-৪৭/২৫, তারিখ- ০১/০৫/২০২৫ইং আনায়ন করি তারপরেও আসামীগণ আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের খতি করার আকেজ পোষন করিতে থাকে। অতঃপর ০৯/০৮/২০২৫ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য লালমনিরহাট শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ী হইতে বাহির হইয়া রহনা হওয়ার মুহুর্তে গেটের বাহিরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উল্লেখিত আসামীগণ হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, ছোড়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে স্বত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া একই উদ্দেশ্যে আমার সামনে আসিয় ঘিরিয়া ধরে অন্যায়ভাবে আটক করে। তখন ৫নং আসামীর হুকুমে ১ হইতে ৪নং আসামীগণ বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দ্বারা আমাকে বেধরখভাবে মারপিট করিয় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলা ফুলা জখম করে। ঐ সময় ৩ ও ৪নং আসামী আমার দুই হাত চাপিয়া ধরে। ইহার সুযোগে ১নং আসামী আমর পড়নের প্যান্টের ডান সাইড পকেটে থাকা ১৭,৩০০/- (সতের হাজার তিনশত) টাকা জোর পূর্বক বাহির করিয়া নেয় তখন আমি চিৎকার চেচামেচি করিতে থাকিলে তখন ২নং আসামী তার হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলায় ফোস মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। উক্ত আঘাতের ফলে আমি মাটিতে পরিয়া গেলে ১নং আসামী আমার বুকের উপর বসিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাত দিয়া আমার গলা চাপিয়া ধরিলে আমার শ্বাস বন্ধ হইয়া যায় ও নাক ও মুখ দিয়া রক্ত বাহির হইতে থাকে। ঐ সময় সকল আসামীগণ আমাকে অপহরনের উদ্দেশ্যে টানা হেচরা করিয়া ৫০ গজ দূরে ৩নং আসামীর বাড়ীতে লইয়া যাইতে থাকে। আমার চিৎকার ও শোরগোল শুনিয়া আমার মা ছামছুন্নাহার বেগম লুসি (৫৫), ঘটনাস্থলে আসিয়া আসামীদের কবল হইতে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করিলে ৬নং হইতে ১১নং আসামীগণ আমার মাকে বেধরখভাবে কিল ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। তখন ১নং আসামী আমার মায়ের চুলের মুঠি ধরিয়া ও পড়নের কাপড় টানা হেচরা করিয়া বিবস্ত্র করে শ্লীলতা হানি ঘটায়। ঐ সময় আশপাশ লোকজন স্বাক্ষী- ১। মোঃ নূর ইসলাম (৬৫), পিতা- মৃত-আছিমুল্লাহ, ২। মোঃ ইউনুছ আলী (৩৫), পিতা- মৃত: বক্তার আলী, ৩। মোঃ আনারুল ইসলাম (৩২), পিতা- মৃত: রমজান আলী, ৪। মোঃ মিলন ইসলাম পদ্ম (৩৫), পিতা- আব্দুর রহমান, সর্ব সাং- মকড়া ঢঢ গাছ, ইউনিয়ন মহেন্দ্রনগর, থানা ও জেলা- লালমনিরহাটসহ আরো অনেকে ঘটনাস্থলে আসিয়া দাঙ্গাবাজ আসামীদের কবল হইতে আমাকে ও আমার মাকে রক্ষা করে ঘটনা দেখে। ঐ সময় ১নং আসামী ধারালো ছোড়া উঠাইয়া অন্যান্য আসামীসহ আমাকে প্রান নাশের হুমকি প্রদর্শন করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর স্বাক্ষীগণের সহায়তায় আমি ও আমার মা সহ অপরিচিত ব্যক্তি অটো বাইক যোগে লালমিনরহাট সদর হাসপাতালে যাইয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই। আমার ভর্তি রেজিঃ নং- ৪১৬০/১৯০, বেড নং- এক্সট্রা- ০৪, তারিখ- ০৯/০৮/২০২৫ ইং। আমি ও আমার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকিয়া আমার চাচা মোঃ ইউনুস আলীর দ্বারা থানায় এজাহার দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল। অতএব, বর্নিত বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জনাবের সদয় মর্জি হয়। [লালমনিরহাট সদর থানার মামলা নং-১৫, তারিখ- ১০/০৮/২০২৫।]

 

এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করে না কেউই। ফলে দিন দিন তারা অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমের লাগাম টেনে ধরতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দ্রুত অপর আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

 

রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টায় লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোল চত্ত্বরে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব লালমনিরহাট জেলা, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা এবং লালমনিরহাট জেলার কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের যৌথ আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকড়া ঢঢ গাছ এলাকায় প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের সদস্য ও স্থানীয় সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও মাতৃভূমি’র জাতীয় দৈনিক চিত্র পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি মোঃ হেলাল হোসেন কবিরকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বেদম পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনি ও তার মা আহত হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের সকলকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান কর্মরত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

 

সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবিরের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ রওশন মিয়া জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার হোতা ছিলেন মোঃ সোহরাব হোসেন। তথ্যপ্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ নূরনবী জানান, মামলার পর পরই একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

 

সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির বাংলাদেশের উত্তরের লালমনিরহাট জেলা সদরের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকড়া ঢঢ গাছ গ্রামে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ১ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা- মোঃ আমিনুল ইসলাম আনোয়ার ও মাতা- মোছাঃ ছামসুন্নাহার বেগম লুচি। বোন মোছাঃ আছিয়া খাতুন। শিশু বয়সে টাইফয়েড জ্বরে হারান বড় ভাই আব্দুল লতিফকে।

 

মকড়া ঢঢ গাছ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার প্রথম ধাপ। কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল পর্যায়ের পড়াশোনা। শেখ শফিউদ্দিন কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে বিএসএস এবং কারমাইকেল কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে মাস্টার্স।

 

তিনি ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতি সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িত রেখে সৃজনশীল কাজ করে চলছেন। সমসাময়িক বিষয় লেখালেখি করে থাকেন। বলা যায় তিনি একজন দারুণ সমাজ ভাবুক। স্থানীয় সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ভাবায় তাঁকে। এক যুগের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সাথে জড়িয়ে আছেন। সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন, স্মরণিকা, জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় পত্রিকা ও যৌথ গ্রন্থে স্কুল জীবন থেকে কবিতা, ছোট গল্প ও সমসাময়িক লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে লেখালেখিকে ধরে রেখেছেন। “প্রহরীর নষ্ট চাবুক” এই কবিতার বইটিতে স্থান পেয়েছে সমাজের শোষিত মানুষের বিরুদ্ধে, দেশ ভাবনা, বিরহ, আশা, প্রকৃতি, মানবতা এবং প্রেমের বাস্তবতার চরিত্র। কবি নিজে থেকে যা উপলব্ধি করেছেন তাই তুলে ধরেছেন। তিনি মূলত বাস্তববাদী কবি… সর্বপরি “প্রহরীর নষ্ট চাবুক” বইয়ের মাধ্যমে কবি নতুন করে মনের ভিতরে থাকা চিন্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চান।

 

সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবিরকে সম্মাননা: সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য প্ল্যাণ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও রূপান্তর যৌথ ভাবে বেস্ট রিপোর্টার এ্যাওয়ার্ড-২০১৫, কবিতার জন্য লালমনিরহাট জেলা সাহিত্য মেলায় বাংলা একাডেমি কর্তৃক সম্মাননা স্মারক-২০২২, সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ প্রেসক্লাব লালমনিরহাট শাখা কর্তৃক গুণীজন সম্মাননা-২০২২ ভূষিত করা হয়।

 

উল্লেখ্য, সাংবাদিক মোঃ হেলাল হোসেন কবির সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও দৈনিক চিত্র পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি এবং প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের সদস্য।

 

পুনশ্চ: আমরা প্রত্যেক সাংবাদিকই জানি, আমাদের সাংবাদিকদের পথ চলা সহজ নয়, দুর্গম। এই ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ পেরোতে, সামনে এগিয়ে যেতে সাংবাদিক মোঃ হেলাল হোসেন কবির-এঁর এই পথচলায় সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে মসৃণ পথে, স্বাচ্ছন্দ্যে। আর টার্গেট নয় সাংবাদিক মোঃ হেলাল হোসেন কবির। এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

 

[লেখক: সাংবাদিক ও সম্পাদক, লালমনিরহাট।]

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone